ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত বহু বাড়ি , দীপাবলিতে কান্নার রোল : আশ্রয়হীন শতাধিক মানুষ

14th November 2020 4:39 pm বর্ধমান
ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত বহু বাড়ি , দীপাবলিতে কান্নার রোল : আশ্রয়হীন শতাধিক মানুষ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) : ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা গ্ৰাস করলো প্রায় ২০ থেকে ২২ টি বসতবাড়িকে । আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ ব্লকের কাঁকুরিয়া পঞ্চায়েতের কৈলাশপুর গ্ৰামে । পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মাথার উপরের ছাদ সহ সমস্ত জিনিসপত্র । দীপাবলির দিনে কান্নার রোল গোটা এলাকায়।  ঘটনাস্থলে বেশ কিছুটা দেরীতে উপস্থিত হয় দমকল বাহিনী যানজটের জেরে । স্থানীয়রাই  সেচের কাছে ব‍্যবহৃত পাম্প মেশিন চালিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন । আগুন ছড়িয়ে পড়ে হু হু করে । তিনটি গ‍্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয় বলে জানা গেছে । পাটকাঠির আগুনে রান্নার কাজ করতে করতেই হঠাৎ করে একটি ঘরে আগুন লেগে যায় । তারপর মুহূর্তে র মধ‍্যে তা ছড়িয়ে পড়ে । গ‍্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়, তাছাড়া একটি রেফ্রিজারেটর এর দোকান ছিল । সেখানেও গ‍্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায় । একের পর এক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে । কোনভাবেই আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় নি । শেষ অবধি ২৩ টি বসত বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানা গেছে । শতাধিক মানুষ আশ্রয়হীন । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গিয়ে হাজির হয়েছেন এলাকায় । কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বহু গবাদী পশু আগুনে ঝলসে মারা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন । নান্দাই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান লিয়াকৎ সেখ জানিয়েছেন , সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে । পাটকাঠির আগুন থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে । সব ঘর ই টিন আর অ্যাসবেসটস দিয়ে তৈরী । কালনা ১ এর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সহ কাঁকুরিয়া পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিরা হাজির হন ঘটনাস্থলে । উৎসবের মরশুমে কান্নার রোলে ভারাক্রান্ত গোটা এলাকায় । কমিউনিটি কিচেন তৈরী করে খাবার পৌঁছে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । প্রশাসন কিভাবে পাশে দাঁড়াতে পারে তার জন‍্য আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।